আসুন আমরা আল্লাহর দিকে ফিরে যায়
আল্লাহ্ চান মানুষ যেন আখেরাতের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে যায়, আল্লাহ্ বলেন - ''যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য - কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল" (সূরা আল মুলক : ২)
আর আপনি আমি চাইছি দুনিয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে, আল্লাহ্ বলেন - "তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন রাখে প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা" (সূরা আত তাকাসুর : ১)
হে ভাই বোনেরা আল্লাহর দিকে ফিরে আসুন জাহান্নাম যে বড়োই ভয়ঙ্কর !আল্লাহ্ জাহান্নামের কথা বলতে গিয়ে বলেন "কতোই না নিকৃষ্টতম সেই জায়গা"
মহান আল্লাহ্ বলেন - "আর নিশ্চয় সীমালংঘনকারীদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্টতম প্রত্যাবর্তনস্থল। জাহান্নাম, সেখানে তারা অগ্নিদগ্ধ হবে, কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল" (সূরা সোয়াদ : ৫৫-৫৬)
আর জাহান্নাম মানে যন্ত্রণা বুঝতেই পারছেন সেখানে না খাবার ঠিক না থাকার ঠিক কেবল যন্ত্রণা আর যন্ত্রণা
মহান আল্লাহ্ বলেন - "এটাই। কাজেই তারা আস্বাদন করুক ফুটন্ত পানি ও পুঁজ। আরো আছে এরূপ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি '' (সূরা সোয়াদ : ৫৭-৫৮)
মনে রাখবেন আল্লাহ্ আমাদেরকে শুধু শুধু সময় গুলো দেননি বরং অনেক কাজ বাকি আছে ; অনেক আমল বাকি আছে করার জন্য ! তবে আপনি আমি এই মূল্যবান সময় টা কেন নষ্ট করছি চায়ের দোকানে পানের দোকানে, প্রেমিকার সঙ্গে চ্যাটিং এ, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাখানায়! নামাজের সময় খেলার মাঠে!
আল্লাহ্ বলেন - "তারপর অবশ্যই সেইদিন তোমাদেরকে নিয়ামাত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে" (সূরা তাকাসুর : ৮)
"ভুল হিসেব আজই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে সফল হতে গেলে।''
আপনি দুনিয়ার জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকুন আর আখেরাতের জীবন নিয়ে চিন্তায় থাকুন না কেন মৃত্যু একদিন আসবেই এটা নিশ্চিত দুনিয়ার প্রতিযোগিতা আখেরাতে কোনো কাজে আসবে না কিন্তু দুনিয়ায় থেকে আখেরাতের প্রতিযোগিতা করলে নিশ্চয়ই দুনিয়া এবং আখেরাতে উভয় দিকে সফলকাম হবেন। মহান আল্লাহ্ বলেন - "শীঘ্রই জানতে পারবে। কখোনো নয়। যদি তোমরা নিশ্চিত জ্ঞানের জ্ঞানী হতে। অবশ্যই তোমরা জাহান্নাম দেখবে। তারপর অবশ্যই তোমরা তা দেখবে চাক্ষুষ প্রত্যয়ে" (সূরা আত তাকাসুর : ২-৭)
বুখারীর শরীফের এক হাদিসে এসেছে এক ব্যক্তি ১০০ টা হত্যা করার পরেও তাকে আল্লাহ্ জান্নাত দিয়েছেন শুধু তাওবা করার জন্য হাদিস আর বিস্তারিত করলাম না কারণ সবাই কম বেশি হাদিস শুনেছেন। আপনি আমি কাউকে তো হত্যা করিনি তবে আমি আপনি কেন তাওবা করতে পারবো না
যদি আমরা মন থেকে তাওবা করি তবে আল্লাহ্ নিশ্চয়ই আমাদের তাওবাও কবুল করবেন ইনসা আল্লাহ্।
মহান আল্লাহ্ বলেন - "তিনি সেই সত্তা যিনি বান্দার তাওবা কবুল করেন, তাদের গুনাহ মাফ করেন এবং তোমরা যা করো সবকিছু তিনি জানেন" (সূরা শুরা : ২৫)
মহান আল্লাহ্ আরোও বলেন - "কেউ খরাপ কাজ করে কিংবা নিজের উপর জুলুম করে যদি আল্লাহ কাছে ক্ষমা চায়, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও মেহেরবান দেখতে পাবে" (নিসা : ১১০)
এতএব আসুন আমরা আল্লাহর দিকে ফিরে যায় নিজের গুনাহ গুলোর তাওবা করি। হে আল্লাহ্ আমাদের বড়ো ছোটো গুনাহ গুলো আপনি ক্ষমা করে দিন। আমিন।
কোন মন্তব্য নেই