শাবান মাসের রোযা
শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে এক দিন রোজা রাখার নিয়ম প্রচলিত আছে।
কিন্তু সহীহ হাদীস হলো:-
ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... উম্মুল মুমিনীন আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধারে (নফল) সাওম (রোযা) পালন করে যেতেন, এমনকি আমবা বলাবলি করতাম, হয়ত তিনি সাওম (রোযা) ছাড়বেন না। আবার কখনও তিনি একাধারে (দীর্ঘদিন) সাওমবিহীন থাকতেন। এমন কি আমরা বলাবলি করতাম, হয়ত তিনি আর সাওম (রোযা) পালন করবেন না। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে একমাত্র রমযান মাস ছাড়া কখনও পূর্ণ মাস সাওম (রোযা) পালন করতে দেখিনি। আমি তাকে শাবান মাস ব্যতীত অন্য কোন মাসে অধিক সংখ্যক (নফল) সাওম (রোযা) পালন করতেও দেখিনি।
【সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ সিয়াম, হাদিস নম্বরঃ ২৫৯২】
এমনকী শাবান মাসে রোযা না রাখা ব্যাক্তিকে রমজানের পরেও দুটি রোযা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন যেটা নিম্নের হাদীস দ্বারা প্রমাণিত:
আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ (রহঃ) ..... ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এ মাসের মধ্যভাগে কিছু দিন সওম পালন করেছিলে? সে বলল, না। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তার বদলে রমযানের সিয়াম (রোযা) শেষ করে দু'দিন সিয়াম (রোযা) পালন করবে।
【সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ সিয়াম,হাদিস নম্বরঃ ২৬৪২】
মোটকথা আমাদের একদিন নয় বরং সাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখা উচিত কারণ রাসূলাল্লাহ (সাঃ) রমজানের পর সবচেয়ে বেশি রোজা শাবান মাসেই রেখেছেন। তাই যারা ইচ্ছুক তাঁরা একদিনের পরিবর্তে কমপক্ষে 2-3 টি রোযা রেখে নিজের আমল কে বিদাতীদের আমল থেকে আলাদা করুন। এছাড়া যারা আইয়ামে বীজ অর্থাৎ প্রতি মাসে চন্দ্রের ১৩,১৪,১৫ তারিখে নফল রোজা রাখেন, তারাও রাখতে পারেন কিন্তু সেটা "পঞ্চদশ শাবানের রাত" উপলক্ষে নয়।
আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা, তিনি আমাদেরকে বিদাত মুক্ত হবার ও সুন্নতকে আঁকড়ে ধরে তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তওফিক দান করুন।
আমিন।