কোরআন মাযিদ বুঝে পড়ার গুরুত্ব
★কোরআন মাযিদ বুঝে পড়ার গুরুত্ব★
কিছু তথাকথিত আলেম আছেন যারা বলে থাকেন যে কোরআন বুঝে পড়তে গেলে তোমরা গোমরা হবে।
অথচ কোরআন হলো আল্লাহর দেয়া পথনির্দেশক। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন: তোমরা সৎ কাজের আদেশ দাও, অসৎ কাজে নিষেধ কর।
আপনি যদি কোরআন শরীফের অর্থ না বুঝেন তাহলে সৎ ও অসৎ কাজ চিনবেন কি করে। চিনার পরইতো আদেশ ও নিষেধের প্রশ্ন আসবে।
আল্লাহ সূরা কামারে চার বার বলেছেন:
"কুরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, সুতরাং উপদেশ গ্রহণকারী কেহ আছে কি?"
(সূরাহ কামার;৫৪/১৭,২২,৩২,৪০)
এছাড়াও সূরা আল বাক্বারাহ ও আ'রাফের দ্বিতীয় আয়াত এ বলেছেন:
"এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,"
"এটি একটি গ্রন্থ, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, যাতে করে আপনি এর মাধ্যমে ভীতি-প্রদর্শন করেন। অতএব, এটি পৌছে দিতে আপনার মনে কোনরূপ সংকীর্ণতা থাকা উচিত নয়। আর এটিই বিশ্বাসীদের জন্যে উপদেশ।"
অনারব মুসলমানকে ও আরবী ভাষায় বুৎপত্তি অর্জন করতে হবে শুধুমাত্র কোরআন পড়ার সাথে সাথে তা বুঝে হৃদয়ঙ্গম করার জন্য। তা এমন ভাবে বুঝতে হবে যাতে অন্যদেরকে বুঝানো যায়।
আরবী ভাষার উপর যদি এভাবে বুৎপত্তি অর্জন করা সম্ভব না হয় তাহলে নিজ মাতৃভাষায় অনুবাদ কৃত -
কোরআন পড়ে তা বুঝতে হবে।
জানার জন্যই বুঝতে হবে।
কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেন:
"যারা জানে আর যারা জানেনা তারা কি সমান হতে পারে ?" (সূরা যুমারঃ ০৯)
মানার জন্যই বুঝতে হবে।
চলার জন্যই বুঝতে হবে।
নিজেকে এবং অপরকে শিক্ষা দেবার জন্যই বুঝে পড়তে হবে।
কারণ- সমস্ত আলিম এই ব্যাপারে একমত যে ইলম শিক্ষা করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ।
সৎ কাজ নিজে করে অন্যকে তা করতে উৎসাহিত করার জন্য কোরআন অর্থসহকারে বুঝে পড়তে হবে।
অসৎ কাজ থেকে নিজে মুক্ত থেকে অন্যকে নিষেধ করার জন্য কোরআন বুঝে পড়তে হবে।
কারণ:
"অবশ্যই তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক থাকা দরকার যারা সৎকাজের আদেশ দেবে অসৎ কাজে বাধা দেবে।"
(আলে ইমরান: ১০৪)
তাই আশা করি মুসলিম ভাই ও বোনেরা পবিত্র কুরআন বুঝে পড়ার দিকে মনোযোগী হবেন। যে দিনগুলো চলে গেছে সেগুলোর কথা না ভেবে আজ থেকে বাকি দিনগুলোতে আমরা নিয়মিতভাবে কুরআন তিলাওয়াত করবো, বুঝবো এবং সে অনুযায়ী আমল করবো।
প্রথমত, আমাদের কাজ হচ্ছে পবিত্র কুরআনের অর্থ বুঝতে পারা, এরপর আমাদের দায়িত্ব সে অনুযায়ী আমল করা। এবং অন্যদের ও বুঝাব।
কারণ মহানবী (সাঃ) বলেছেন:
“তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে নিজে কুরআন বুঝে পড়ে ও অন্যদের সেভাবে বুঝায়।“ (সহীহ বুখারী)
তাই আমরা সকলে কোরআন বোধগম্যতার সাথে পড়ার উদ্যোগী হবো— ইনশাআল্লাহ্
কোন মন্তব্য নেই